এসইও এর ব্যাপারে তো আমরা সবাই শুনেছি হয়তো। ইদাদিং একটু বেশীই শোনা যায়। বিশেষ করে যারা ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত আছেন তারা তো এটা নিশ্চয়ই শুনেছেন যে, “এসইও টা ঠিক ভাবে করতে হবে”। কিন্তু কি হয় এই এসইও করলে? কেন করা উচিৎ এসইও? এই ২০২০ এ এসে এসইও করাটা কতখানি জরুরী? এসব প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আপনিও কি তাদের মধ্যেই একজন? চিন্তার কোন কারন নেই। আজকে আমরা এসব প্রশ্নেরই উত্তর জানার চেষ্টা করবো।
কিছুক্ষনের মধ্যেই আপনি জানতে পারবেন যে, এসইও করলে আসলে কি হয় ? তখন আপনি এটাও নিজে নিজেই বুঝে যাবেন এসইও সার্ভিস কি আপনার নেওয়া উচিৎ কিনা বা আপনার ব্যবসাকে এসইও কোন ভাবে সাহায্য করতে পারবে কিনা।
তো আর সময় নষ্ট না করে চলুন শুরু করি।
এসইও কি?
এসইও করলে আসলে কি হয় সেটা বোঝার আগে আমাদের জানতে হবে এসইও কি। এসইও আসলে একটা সংক্ষিপ্ত রুপ। এর পূর্নরুপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন। এটা অনেক গভীর একটি বিষয়। সহজ ভাবে বলতে গেলে, কোন ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করানোর জন্য যে সকল উপায় অবলম্বন করা হয় তাই এসইও। বর্তমানের সব থেকে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে গুগোল। আপনার ওয়েব সাইট কে যদি আপনি গুগোলে সার্চ রেজাল্টে প্রথম পেজে দেখতে চান এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে অপ্টিমাইজ করতে হবে। আপনি এর জন্য যে টেকনিকগুলো অবলম্বন করবেন তাই এসইও।
তো, এসইও সম্পর্কে প্রাথমিক একটা ধারনা তো আমাদের হল। এখন জানা যাক, এসইও করলে আসলে কি হয়। যদিও এসইও এর নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। আমি তারমধ্যে থেকে বাছাই করে কয়েকটি সুবিধা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
-
আপনার সাইটে আরও বেশী ভিজিটর পাবেন
এসইও করার অন্যতম লক্ষ্যই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের টপ রেজাল্টের মধ্যে আসা। এতে লাভ যা হবে তা হল, আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন থেকে অনেক ভিজিটর আসবে।
এসইও করা ছাড়াও আরও কিছু টেকনিক আছে সাইটের ভিজিটর বাড়ানোর। তবে, এসইও এর মাধ্যমে যত ভিজিটর পাওয়া সম্ভব তা অন্য কোন উপায়ে অসম্ভবই প্রায়। অনেক ওয়েবসাইট কেই এসইও এর মাধ্যে দ্রুতই অনেক ভিজিটর পেতে দেখেছি। এখন এই বেশী সংখ্যক ভিজিটর দের কাছ থেকে লাভ করার সম্ভাবনা কতখানি? চলুন একটি সহজ উদাহরণের মাধ্যমে দেখে নেওয়া যাক।
ধরুন, আপনি একজন ই-কমার্স ব্যবসায়ী। আপনি ৫০০ সার্চ ভলিউমের একটি কিওয়ার্ডে গুগোলে টপ থ্রি তে র্যাংক করলেন। এতে করে আপনার সাইটে ক্লিক পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৬০%। তো ধরলাম, ২৫০ জন ভিজিটর আপনার সাইটে ভিজিট করলো প্রতি মাসে ঐ কিওয়ার্ডে।
ঐ ২৫০ জন থেকে ধরলাম ১২৫ জন আপনার প্রডাক্ট পছন্দ করলো এবং বাকী ১২৫ জন মোটামোটি পছন্দ করলো বা অল্প কেউ হয়তো করলো না। এখন যে ১২৫ জন আপনার প্রডাক্ট পছন্দ করলো তাদের মধ্যে থেকে ধরলাম ৬০-৬৫ জন প্রডাক্ট কিনবে বলে ঠিক করলো। বাকী কয়েকজন হয়তো বা এখন নিবে না কিন্তু ভবিষ্যতে নেওয়ার সম্ভাবনা কিন্ত থেকেই যায়।
এখন যে ৬০-৬৫ জন আপনার প্রডাক্ট কিনেছে বলে ঠিক করলো তাদের থেকে যদি ৫০ জনও কিনে ফেলে এবং আপনি যদি ৫০০ টাকা করে লাভ রাখেন, আপনার মোট লাভ কত এসে দাঁড়ালো? হ্যা, ঠিকই ধরেছেন ২৫ হাজার টাকা। এটা তো শুধু একটা কিওয়ার্ড থেকে। এরকম বায়িং কিওয়ার্ড যদি আপনার ১০ টা ১৫ টা বা ২০ টা র্যাংকে থাকে তাহলে? যদি এমন ১০০ কিওয়ার্ড র্যাংকে আসে? সার্চ ভলিওম যদি আরও বেশী হয়? এভাবেই আপনি খুব সহজেই আপনার কম্পিটিটর দের পিছনে ফেলে বাজার দখল করে নিতে পারবেন।
আর এসইও এর পিছনে খরচ? আমাদের ব্যাসিক প্যাকেজের মুল্য মাত্র ১৫ হাজার টাকা।একমাসে বেশ অনেকগুলো কিওয়ার্ড র্যাংক করানো সম্ভব। আপনি যদি ৬ মাস সার্ভিস নিয়ে কিওয়ার্ড র্যাংকে রেখে দেন , আপনার ব্যবসা কোথায় গিয়ে দাড়াবে ভাবতে পারছেন?
এখন আপনি যদি এসইও না করেন তাহলে এসব সুবিধা তো আপনার কম্পিটিটর নিয়ে যাবে।
নিচের এই স্ক্রিনশটটিই দেখে নিন। কিভাবে একটি নতুন ওয়েবসাইটটি এসইও এর মাধ্যমে গ্রো করেছে। আর এই ওয়েবসাইটের এসইও আমরাই করেছিলাম।
Previous Ahrefs Reports:
Present Ahrefs Reports:
Previous Google Search Console Reports:
Present Google Search Console Reports:
শুধু পরিবর্তনটা চিন্তা করুন একবার
-
এডের জন্য বাড়তি খরচা করতে হবে না
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সকল প্ল্যাটফর্মে এডের খরচ বেড়েই চলেছে। আপনি এসইও করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের পিছনে আর এডের জন্য বাড়তি খরচা না করলেও চলবে। কারন তখন আপনি এমনিতেই সার্চ ইঞ্জিন থেকে অনেক ভিজিটর পাবেন। আর যেহেতু, এসব অর্গানিক ভিজিটর। এর জন্য আপনার কোন পয়সাও খরচ হবে না। চমৎকার না ব্যাপারটি?
উদাহরন দিয়ে বললে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। ধরুন আপনি গুগোলে Cryptocurrency Exchange Software এই কিওয়ার্ডে আপনি এড রান করাতে চাচ্ছেন। শুধু আমেরিকাতেই এটার সার্চ ভলিউম ২১০। এই কিওয়ার্ডের গুগোলের সিপিসি ৬.৭৮ ডলার। আপনি যদি এই কিওয়ার্ডে ১ মাস এড রান করে ১৫০ ক্লিক পান এর জন্য আপনাকে গুনতে হবে ১০১৭ ডলার শুধু মাত্র একটা কিওয়ার্ডের জন্য! ৬ মাস এড দিতে গেলে ৬১০২ ডলার!!! আর যদি আপনি আরও কিছু কিওয়ার্ডে এড দিতে চান তাহলে আপনার বাজেট কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ভাবুন একবার। এবার আসা যাক, এসইও করলে ব্যাপারটা কেমন হবে।
প্রথমত, আপনাকে কোন ক্লিকের জন্য বা ভিজিটরের জন্য ডলার গুনতে হবে না। আপনি যদি আমাদের ৫০০ ডলারের প্যাকেজ টা নিয়ে কিওয়ার্ডগুলো র্যাংকে নিয়ে আসেন এবং র্যাংকে আসার পর থেকে আমাদের ২০০ ডলারের প্যাকেজে শিফট করেন এরকম আরও শত শত কিওয়ার্ড এ অর্গানিক ভাবেই র্যাংক করতে পারবেন। খরচও ৫ গুন কমে আসবে কিওয়ার্ডও একাধিন টার্গেট করতে পারবেন। এটাই তো এসইও এর সৌন্দর্য। আপনাদের আর একটি তথ্য দিয়ে থাকি। বিটকয়েন রিলেটেড এসব সফটওয়্যারের দাম অনেক বেশী হয়ে থাকে। পূর্বে আমরা এ ধরনের সাইটে কাজ করেছি। তাদের একটি সফটওয়্যারের দাম ৩০০০০ ডলার ছিল। এখন চিন্তা করে দেখুন আপনি যদি প্রতি মাসে একটি করে সেলও আসে প্রফিট করার সম্ভাবনা কতখানি?
আপনি যদি অনেকগুলো কিওয়ার্ড এ র্যাংকে আসতে পারেন তাহলে তো কোন কথাই নেই। এর থেকে দারুন ব্যাপার আর কি হতে পারে?
-
সঠিক অডিয়েন্সের কাছে আপনার সাইট পৌছাবে
আপনি যখন আপনার সাইটে এসইও করবেন তখন আপনাকে আর অডিয়েন্সের পিছনে ছুটতে হবে না। বরং অডিয়েন্সই আপনাকে খুজে পাবে। কি আজব লাগছে ব্যাপারটি? ব্যাপারটি তাহলে খুলে বলি।
আপনার ওয়েবসাইট যদি সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করা থাকে তাওলে সার্চ ইঞ্জিনে কেউ আপনার পন্য বা সার্ভিস সম্পর্কে সার্চ করবে আপনার সাইট টি খুজে পাবে। অর্থাৎ, আপনার ব্যবসাটি সঠিক ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপিত হবে। সেইসব লোক আপনার সাইটে যাবে যারা ইতিমধ্যেই আপনার পন্য বা সেবার ব্যাপারে আগ্রহী। এতে করে আপনার সেল বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা বহুগুনে বেড়ে যায়।
আবারো একটি উদাহরনে যাওয়া যাক, বাসের মধ্যে হকারদের সাথে তো আমরা সবাই পরিচিত। হকার যখন কোন পন্য নিয়ে বাসে ওঠে অল্প কিছু সংখ্যক লোক পন্য কিনতে আগ্রহী থাকে, বেশীরভাগ লোকেরই দেখা যায় আগ্রহ নেই। অনেকেই বিরক্ত হয়। কিন্তু ধরুন, একজন লোক Business Consultancy নেওয়ার জন্য ভালো কাউকে খুজছে। এখন তাকে যদি ভালো কোন Business Consultancy Provider এর সন্ধান দেওয়া যায়, এতে করে সে আরও উপকৃত এবং খুশী হবে। এই এক্স্যাক্ট কাজটা এখানে গুগোল করে থাকে। যে যেই সার্ভিস বা পন্যটি খুজছে গুগোলের সার্চ রেজাল্ট সেটিকেই তার সামনে তুলে ধরে। এখন আপনি যদি গুগোলের টপ রেজাল্টে থেকে থাকেন তাহলে সবাই আপনার সাইটেই ঢুকব। পার্থক্য টা বুঝতে পারছেন তো? এড দেখালে যেখানো অনেকেই বিরক্ত হয়ে স্কিপ করে দেয়, সেখানে কাস্টমার নিজে সার্চ করে আপনার সাইটে আসবে। কি চমৎকার না বিষয়টি? এই জন্যই তো পৃথিবীব্যাপী বড় বড় জায়ান্ট কোম্পানি গুলো তাদের সাইটের এসইও এর ব্যাপারে এত গুরুত্ব দেয়। আপনিও কি চান সঠিক অডিয়েন্সের কাছে পৌছাতে? তাহলে যে আপনাকেও এসইও এর সহায়তা নিতে হবে।
-
আপনার বিজনেসের ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে
বর্তমানে আমরা সবাই সার্চ ইঞ্জিনের প্রতি অনেক বেশী নির্ভরশীল। যে কোন ব্যাপারে জানার হলেই আমরা গুগোলের সহায়তা নিতে অভ্যস্ত। এসইও করলে আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিনে আরও ভিসিবল হবে। সহজেই আপনার অডিয়েন্স আপনাকে খুজে পাবে।
এতে আপনার ব্যবসায়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, ৪৮% লোক কোন নতুন প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা সম্পর্কে জানতে ঐ ব্যাপারে জানতে গুগোলে সার্চ করে বা ওয়েবসাইট ভিজিট করতে চায়। কিন্তু, আপনার ওয়েবসাইট যদি ভালোভাবে অপ্টিমাইজ না করা থাকে তাহলে তাদের অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো হবে না।
কোন ওয়েবসাইট থেকে যদি আপনার এভারেজ আর্নিং মাসে ১ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে তাহলে আপনি এটিকে বিক্রি করতে পারবেন এর ২৫ গুন থেকে ৩৫ গুন মূল্যে। এখন আপানর সাইট থেকে যদি আর্নিং এসে থাকে ৫ লক্ষ টাকা, তাহলে? আপনার ব্যবসার ভ্যালু গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। তো, আপনিও কি চান না যে আপনার ব্যবসার ভালূ অনেক বেড়ে যাক? তাহলে, এখনি এসইও এর ব্যাপারে মনযোগী হোন।
-
আপনার কম্পটিটরদের থেকে এগিয়ে থাকবেন
এসইও করার মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিটিটর থেকে এগিয়ে থাকতে পারবেন। কিন্তু কিভাবে? চলুন যেনে নেওয়া যাক।
যার ওয়েবসাইট যত ভালোভাবে অপ্টিমাইজ করা থাকবে সে সার্চ ইঞ্জিনে তত ভালো পজিশনে থাকবে। এখন, আপনি যদি ভালো ভাবে অপ্টিমাইজ করতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত কিওয়ার্ডেও আপনি ভালো অবস্থানে থাকবেন। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই আপনি আরও অধিক সংখ্যক ভিজিটর পাবেন। যা আপনাকে আপনার কম্পিটিটর থেকে এগিয়ে রাখবে। বিশেষ করে এই ২০২০ সালে এসে নিজের ব্যবসাকে অন্য সবার থেকে এগিয়ে রাখতে এসইও দারুন ভুমিকা রাখতে পারে।
ধরুন আপনার কম্পিটিটরেরা এসইও এর থেকে পেইড মার্কেটিং এর প্রতি বেশী আগ্রহী। যেমনটা বেশীরভাগ বাংলাদেশীরা হয়ে থাকে। এর পিছনে প্রধান কারন হচ্ছে তারা এসইও পিছনে এর ইনভেস্টমেন্ট এবং রিটার্ন সম্পর্কে অজ্ঞাত। ধরুন আপনার কম্পিটিটর পেইড মার্কেটিং করে একটি কিওয়ার্ডের এডেই খরচ করলো মাসে ১০০০ ডলার। আর আপনি আমাদের থেকে এসইও সার্ভিস নিলেন এর ৫ ভাগের ১ ভাগ খরচ করে ২০০ ডলার দিয়ে। এতে করে আপনার ১০ টা কিওয়ার্ড টপ থ্রি পজিশনে আসলো। আপনার কম্পিটিটর থেকে আপনি কিওয়ার্ডের দিক থেকেও এগিয়ে থাকলেন আর ভিজিটরও বেশী পাবেন। কোথায় ২০০ ডলার আর কোথায় ১০০০ ডলার, এখন সিদ্ধান্ত টা আপনার যে আপনি পেইড মার্কেটিং করবেন নাকি অর্গানিক ভিজিটর পেতে এসইও এর উপর ইনভেস্ট করে আপনার বোকা কম্পিটিটর দের হারাবেন। আর ১০ টা কিওয়ার্ড তো ছিল কথার কথা আমরা এর থেকে আরও অনেক বেশী কিওয়ার্ড আপনাকে র্যাংকে এনে দিতে পারবো।
আপনিও কি চান আপনার কম্পিটিটর দের থেকে এগিয়ে থাকতে? তাহলে আপনাকেও এসইও করতে হবে এবং সেটা হতে হবে সঠিক উপায়ে।
-
আপনার সাইটে এসে ভিজিটরেরা ভালো অভিজ্ঞতা পাবে
এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম কানুন অনুযায়ী কোন সাইটকে অপ্টিমাইজ করা। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন আসলে কি চায়? সার্চ ইঞ্জিন এটাই চায় যে ভিজিটরেরা যেটি খুজছে সেটি যেন তারা কম সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে পেয়ে যায়।
সার্ভিকভাবে, সার্চ ইঞ্জিন এটাই চায় যেন ভিজিটরেরা ভালো অভিজ্ঞতা পায়। তো আপনি যখন এসইও করবেন অটোম্যাটিক ভাবেই আপনি আপনার ভিজটিরদের ভালো অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। দারুন না ব্যপারটি? এটা তো এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত। সার্চ ইঞ্জিনও খুশী থাকুক, সেই সাথে ওয়েবসাইটের ভিজিটরও। আর, এদের উভয়কে খুশী করতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটের গ্রোথ কে আর ঠেকায় কে!
-
আপনার ব্যবসার S.W.O.T. বুঝতে পারবেন
এসইও করলে আপনার ওয়েব সাইটের খুটিনাটি সবকিছু একদম গভীর থেকে জানতে পারবেন। এখানে S.W.O.T. হচ্ছে Strength, Weakness, Opportunity, Thread। ব্যবসায় ভালো করতে হলে আপনাকে প্রথমে আপনার শক্তি এবং সামর্থ্য হিসাবে ধারণা থাকতে হবে। এসইও এর থেকে যে এনালিটিক্যাল ডাটা আপনি পাবেন সেখান থেকে আপনার স্ট্রেংথ আপনি বুঝতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে কোন কিওয়ার্ড থেকে ভিজিটর আসছে, কোথার থেকে বেশী সেল জেনারেট হচ্ছে, কোন পেজে ভিজিটরেরা বেশী সময় দিচ্ছে সব খুঁটিনাটি জানতে পারবেন।
শক্তি আর সামর্থ্যের পাশাপাশি দূর্বলতা সম্পর্কেও জানা থাকা দরকার। এসইও করলে সেটাও জানতে পারবেন। কোন পেজের বাউন্স রেট বেশী, ভিজিটর সময় একদমই দিচ্ছে না। কোন কিওয়ার্ড থেকে সেল জেনারেট হচ্ছে না বা ভিজিটর কম আসছে। জানতে পারবেন সব কিছু।
এতো গেলো শক্তি আর দূর্বলতার কথা। কিন্তু, এসইও শুধু এই দুটোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এসইও এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসার Opportunity গুলো আরও ভালো ভাবে ধরতে পারবেন। এতে আপনাকে সহায়তা করবে আমাদের ইন-ডেপথ কিওয়ার্ড রিসার্চ। যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রেই আপনাকে আপনার জন্য সঠিক কিওয়ার্ড খুজে বের করতে হবে। সঠিক কিওয়ার্ড খুজে বের করার পাশাপাশি তার সার্চ ভলিউম কত, টপ রেজাল্টে থাকলে এভারেজ সিটিআর কত, এভারেজ কনভার্সন কেমন হয়ে থাকে এসব সম্ভাবনাময় তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। এসবের উপর কাজ করে আপনার ব্যবসাকে নিয়ে যেতে পারবেন অন্যতম এক লেভেলে।
একই সাথে সম্ভাব্য কোন থ্রেড সম্পর্কেও জানতে পারবেন। কোন কিওয়ার্ডের ট্রেন্ড কেমন যাচ্ছে, সেটাতে আগামীতে কেমন সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার কম্পিটিটর হার্মফুল ব্যাকলিঙ্ক করছে না তো আপনার সাইট ডাউন করতে? বা বটের মাধ্যমে ট্রাফিক ছেড়ে দিচ্ছে নাতো আপনার সাইটের ক্ষতি করতে? কোন কারনে কি আপনি গুগোলের পেনাল্টির মুখে পড়তে যাচ্ছেন? সঠিক এসইও এর দ্বারা এসব থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখতে পারবেন। নিজে যদি এসব ভালো না বুঝে থাকেন আমাদের এসইও সার্ভিস নিয়ে দেখতে পারেন।
মোট কথা, আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ব্যবসার জন্য কোনটি কাজ করছে আর কোনটি কাজ করছে না, কোথায় আরও ইমপ্রুভ করা দরকার, কোন বিষয়গুলি আপনার ভিজিটররা কিভাবে নিচ্ছে ইত্যাদি। এর মাধ্যমে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইট এবং ব্যবসাটিকে।
এই ছিল এসইও এর নানাবিধ দিকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি। আশা করি, সবাই বুঝতে পেরে গিয়েছেন যে এসইও করলে আসলে কি হয়। তাই, এখন থেকে আপনার সাইটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এসইও এর ব্যাপারে মনোযোগী হন। আর একটি গুরুত্বপূর্ন কথা, সব কিছুরই ভালো খারাপ দুইটি দিক থাকে। এসইও এর যেমন শত শত ভালো দিক রয়েছে, সঠিক ভাবে না করতে পারলে এর অনেক খারাপ দিকও রয়েছে। আপনি এসইও এর সঠিক উপাইয়গুলি অবলম্বন করছেন তো? চাইলে আমাদের থেকে সহায়তা নিতে পারেন। ক্রিয়েটিভ মার্কেটার্স বাংলাদেশ এসইও সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের সার্ভিস নিতে আগ্রহী হলে নির্দিধায় যোগাযোগ করুন।
এসইও সম্পর্কিত আরও বিভিন্ন দরকারী তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে। কারও কোন প্রশ্ন থাকলে বা কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান। সবার ব্যবসায়ের জন্য রইলো শুভকামনা।