Category: Blog

নিঃসন্দেহে এসইও যে কোন ওয়েবসাইটের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ন।ভালোভাবে এসইও করলে আপনি এর রিটার্নও খুব ভালো পাবেন। অন্যদিকে, এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলে লাভ তো কিছু হবেই না, বরং আরও নানাবিধ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। অনেকেই না জেনে এসইও এর এসব ভুলগুলো করে থাকে এবং যার জন্য ওয়েবসাইট ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আচ্ছা আপনিও এই ধরনের ভূল করছেন না তো? আপনাকে সাবধান করার জন্যই এই পোস্ট টি। আমি আপনাদের জন্য এমন ৭ টি কমন মিসটেক খুজে বের করেছি যেগুলো অনেকেই করে থাকে।

পড়ে ফেলুন এই আর্টিকেলটি এবং মিলিয়ে দেখুন আপনিও একই ভুল করছেন না তো? তাহলে আর দেরী কিসের? চলুন প্রথম পয়েন্টে চলে যাওয়া যাক।

 

মিসটেক নং ১- ভূল কিওয়ার্ড বাছাই করা

 

SEO Common Mistake

 

এসইও এর সবথেকে কমন ও মারাত্মক যে ভুলটি সবাই করে থাকে তা হল ভুল কিওয়ার্ড বাছাই করা। আপনার কিওয়ার্ড সিলেকশনে যদি ভূল হয়ে থাকে তাহলে আপনি অন্য সবকিছু যত ভালো ভাবেই করুন না কেন, গ্রো করাটা আপনার জন্য খুবই মুশকিল হয়ে যাবে।

কিওয়ার্ড রিসার্চ হচ্ছে এসইও এর ক্ষেত্রে পিলারের মত। এখানেই যদি গন্ডগোল হয়ে থাকে, তাহলে সম্পুর্ন স্থাপনাই নড়বড়ে হয়ে যাবে। তো এর থেকে বাঁচার উপায়? কিওয়ার্ড সিলেকশনে খুবই সতর্ক হতে হবে। কোন কিওয়ার্ড এর শুধু সার্চ ভলিউম দেখেই নিয়ে নেওয়া যাবে না। আনুসঙ্গিক আরও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।যেমন ধরুন, আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট কে খুজে পেতে আদৌ কি অডিয়েন্স ঐ কিওয়ার্ড ব্যবহার করবে?শুধুমাত্র কিওয়ার্ড এর শাব্দিক অর্থের উপর গুরুত্ব না দিয়ে সার্চ ইন্টেন্ট এর উপরও গুরুত্ব দিতে হবে।কিওয়ার্ড রিসার্চে তাড়াহুড়া একদমই করতে যাবেন না। Google Keyword Planner, Ahref, SEMrush, Moz, Keyword Revealer এসব টুলের সহায়তা নিতে পারেন। যদি ফ্রি টুলস দিয়ে কাজ সারতে চান Ubbersuggest ব্যবহার করতে পারেন। আর একটি কথা, কোন টুলস দিয়ে কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি চেক করে সেটাকেই অন্ধভাবে বিস্বাস করে ফেলবেন না। নিজেও একটু সময় খরচা করে ম্যানুয়ালী চেক করে দেখবেন। চাইলে কিওয়ার্ড রিসার্চ সার্ভিস নিতে পারেন।

 

মিসটেক নং ২- কিওয়ার্ড স্টাফিং করা

 

Typing Keyboard

 

কিওয়ার্ড স্টাফিং হচ্ছে বাক্যের মধ্যে জোরপূর্বক বার বার কিওয়ার্ড বসানো। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে অনেকেই কন্টেন্ট কে এসইও ফ্রেন্ডলি করা বলতে কিওয়ার্ড স্টাফিং করাকেই বুঝে থাকেন। আপনিও যদি এটা ভেবে থাকেন যে, কিওয়ার্ড কে বারবার কন্টেন্ট এর মধ্যে ব্যবহার করায় সার্চ ইঞ্জিনের জন্য এটা সুবিধাজনক হবে তাহলে আপনি একদমই ভূলের মধ্যে আছেন।

এই ২০২০ সালে এসে কিওয়ার্ড স্টাফিং যে আপনাকে কোন উপকার করতে পারবে না এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন। আর এটিও নিশ্চিত থাকুন, কিওয়ার্ড স্টাফিং আপনার কন্টেন্ট কে এসইও ফ্রেণ্ডলি তো করবেই না বরং এসইও কে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। একে তো বার বার জোর করে বাক্যের মধ্যে কিওয়ার্ড বসালে ব্যাপারটি রিডারসদের খুবই বিরক্ত করবে। যার জন্য অনেকেই বিরক্ত হয়ে চলে যাবে। এতে করে সাইটের বাউন্স রেট বেড়ে যাবে ও ডুয়েল টাইম কমে যাবে। অন্যদিকে, সার্চ ইঞ্জিন গুলোও স্টাফিং এর ব্যাপারটিকে স্প্যাম হিসাবে দেখে। যার জন্য আপনি পড়বেন সব দিক থেকেই বিপদে। আপনিও যদি এই ভুলটি করে থাকেন এখনি বাদ দিন।কিওয়ার্ড স্টাফিং করার পরিবর্তে এল,এস,আই ব্যবহার করতে পারেন। তবে, অবশ্যই সেটা হতে হবে ন্যাচারাল। জোর করে কোনকিছু করার চেষ্টা করবেন না।

 

মিসটেক নং ৩- ঠিকভাবে ইন্টারনাল লিঙ্কিং না করা

 

Internal Linking

 

ইন্টারনাল লিঙ্কিং এসইও এর খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। বিশেষ করে অন পেজ এসইও এর ক্ষেত্রে। ইন্টার্নাল লিঙ্কিং ঠিকঠাক ভাবে না করতে পারলে আপনার অন পেজ এসইও অসম্পূর্নই থেকে যায়। কিন্তু অনেকেই এই ব্যাপারটি নিয়ে উদাসীন।

ইন্টারনাল লিঙ্কিং এর ক্ষেত্রে মূলত দুই ধরনের ভূল করতে দেখা যায়। এক হল, যেখানে দরকার সেখানে লিঙ্ক বিল্ডিং না করা। অন্যটি, অপ্রাসঙ্গিক যায়গাতে ইন্টারনাল লিঙ্কিং করে রাখা।দুটোই আপনার সাইটের জন্য সমান ভাবে ক্ষতিকারক। তাই, শুধু মন চাইলেই ইন্টারনাল লিঙ্কিং করা যাবে না। বিশেষ করে দুটি বিষয় এখানে খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত, আপনি যেখানে লিঙ্কিং করছেন অ্যাংকর টেক্সট কতখানি প্রাসঙ্গিক? দ্বিতীয়ত, এটি কি রিডারদের জন্য সুবিধাজনক হবে কিনা।

যদি এতে করে আপনার কন্টেন্ট টি রিডারদের জন্য আরও সুবিধাজনক হয় তাহলেই কেবল সেখানে ইন্টারনাল লিঙ্কিং করবেন। অন্যথায়, জোরপূর্বক লিঙ্ক বসিয়ে রিডার্স ও সার্চ ইঞ্জিন কে বিরক্ত করবেন না।

 

 

মিসটেক নং ৪- কোয়ালিটি লিঙ্কের উপর গুরুত্ব না দেওয়া

 

Quality Link

 

একটি ভ্রান্ত ধারনা আমাদের মধ্যে অনেকেরই রয়েছে। সেটি হল কোয়ালিটি লিঙ্কের উপর গুরুত্ব না দিয়ে কোয়ান্টিটির উপর গুরুত্ব দেওয়া। কিন্তু এটি যে কত বড় ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায় পরবর্তীতে এ ব্যাপারটি অনেকেরই অজানা।

আপনার সাইটের টোটাল কতগুলো ব্যাকলিঙ্ক রয়েছে এর থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে ব্যাকলিঙ্ক গুলো কেমন কোয়ালিটি সম্পন্ন সাইট থেকে এসেছে। তো এজন্যই অপ্রাসঙ্গিক ও লো কোয়ালিটি সাইটে ঝুড়ি ঝুড়ি ব্যাকলিঙ্ক করার থেকে প্রাসঙ্গিক ও হাই কোয়ালিটি সাইটের অল্প কিছু লিঙ্ক আপনাকে বেশী সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে আরও একটি ভূল অনেকেই করে থাকে। সেটি হল, ঠিকমত অ্যাংকর টেক্সট না বসানো। এলোমেলো অ্যাংকর টেক্সট, অপ্রাসঙ্গিক সাইট থেকে ব্যাকলিংক, লো কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক, এগুলো সবগুলোই আপনার সাইটের জন্য ভয়ানক।

একটা সময় ছিল যখন ঝুড়ি ঝুড়ি ব্যাকলিঙ্ক র‍্যাংকিং এ ভালো প্রভাব ফেলতো। কিন্তু সেই মানদাতার আমল এখন আর নেই। তাই আপনাকেও এসব ভ্রান্ত ধারনা থেকে বাইরে বেড়িয়ে আসতে হবে। আপনার সাইটে ১০ টা লিঙ্ক থাকলেও তা যেন থাকে কোয়ালিটি লিঙ্ক। মনে রাখবেন, দুষ্টু গরুর থেকে শুন্য গোয়াল অনেক ভালো।

 

মিসটেক নং ৫- ঠিকভাবে টাইটেল ট্যাগ ও মেটা ডিসক্রিপশন না দেওয়া

 

Balance Tag

 

টাইটেল ট্যাগের মত গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়ে অনেকেই ভূল করে থাকেন। সার্চইঞ্জিন এর বটের কাছে টাইটেল ট্যাগ ও মেটা খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় কোন ওয়েব পেজকে ক্রল করার সময়। কিন্তু আপনি যদি টাইটেল ট্যাগ এবং মেটা ঠিকভাবে না বসিয়ে থাকেন তাহলে বিশাল ভূলের মধ্যে রয়েছেন। যা সার্চ বটকে আপনার কন্টেন্ট সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিবে না।

আরও একটি কমন ভূল আমি অনেক লোকদেরই করতে দেখেছি আর সেটি হল ইমেজ ট্যাগগুলো ব্যবহার না করা। কিন্তু সার্চ বটের কাছে ইমেজ ট্যাগগুলিও খুবই গুরুত্বপূর্ন। ঠিকমত ইমেজ ট্যাগ, টাইটেল ট্যাগ ও মেটা ব্যবহার করলে আপনার কন্টেন্টটি আসলে কি বোঝাচ্ছে বা কাদের এটি জন্য উপকারী হবে সার্চ বট এটি সহজেই বুঝতে পারবে। এতে করে আপনার সাইটের র‍্যাংকিং এ ভালো প্রভাব পড়বে। আর  টাইটেল ট্যাগ গুলি বুঝে শুনে বসাবেন। শুধু টাইটেলে কিওয়ার্ড থাকলেই টাইটেল ট্যাগ বসিয়ে দিবেন না। বুঝে শুনে যেখানে দরকার শুধু সেখানেই ব্যবহার করবেন।

 

মিসটেক নং ৬- সাইটকে মোবাইল ফ্রেন্ডলি করার দিকে মনোনিবেশ না করা

 

Making Mobile Friendly Site

 

আপনার ওয়েবসাইটকে ভালোভাবে এসইও করার পরও কি আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না? তাহলে, হয়তো আপনিও এই একই ভূল করেছেন। মনে রাখতে হবে সাইটের বেশির ভাগ অডিয়েন্সই আসে মোবাইল থেকে। ধীরে ধীরে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। তাই আপনি যদি আপনার সাইটকে এখনো মোবাইল ফ্রেন্ডলি না করে থাকেন তাহলে সার্চ রেজাল্টে এর প্রভাব পড়বে।

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগোলসহ প্রত্যেক সার্চ ইঞ্জিনই বলে সাইটকে মোবাইল ফ্রেন্ডলি করার জন্য। গুগোল তো এরই মধ্যে এটা নিয়েই একটি আপডেটও প্রকাশ করেছে। তাই, আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিনের টপ রেজাল্টে নিয়ে আসার জন্য অবশ্যই একে মোবাইল ফ্রেন্ডলি হতে হবে এবং একই সাথে সাইটের লোডিং স্পিডও ভালো হতে হবে। নতুবা, আপনার অন্য কোন টেকনিক কাজে আসবে না।

 

মিসটেক নং ৭- শুধুমাত্র বেশী ভিজিটর পাবার টার্গেট করা

 

 

হ্যা, ঠিকই পড়েছেন। অনেকেই এসইও করার উদ্দেশ্য শুধু বেশী ভিজিটর আনতে পারাকেই মনে করে থাকেন। কিন্তু, এটি একটি ভ্রান্ত ধারনা। সাইটে ভিজিটর আসার দরকার তো অবশ্যই দরকার আছে। কিন্তু তার মানে এই না যে এটিই এসইও এর একমাত্র লক্ষ্য শুধু ভিজিটর বাড়ানো। বরং একই সাথে আপনাকে এটিও মাথায় রাখতে হবে যে কত পার্সেন্ট ভিজিটর কনভার্শন হচ্ছে।

আপনি যদি কোন পন্য বিক্রি করে থাকেন, আপনার সাইটে আসা কত পার্সেন্ট ভিজিটর আপনার পন্যটি কিনছে? আপনি যদি কোন সার্ভিস প্রদান করে থাকেন কত পার্সেন্ট ভিজিটর আপনার থেকে সার্ভিস নিচ্ছে? ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটে ১০০ জন ভিজিটর আসে প্রতি মাসে কিন্তু সেখান থেকে আপনার কাস্টমারে পরিনত হয় ২ জন। অন্যদিকে, আপনার বন্ধুর সাইটে প্রতি মাসে ৫০ জন ভিজিটর আসে যার মধ্যে ৫ জনই কাস্টমারে পরিনত হয়। এখানে কে বেশী লাভবান হবে?অবশ্যই, আপনার বন্ধু। তো শুধু সাইটে ভিজিটরের কথা চিন্তা করে ইরিলিভেন্ট কিওয়ার্ড এ রেঙ্ক করলেই হবে না, তাদের থেকে কেমন কনভার্শন হচ্ছে সেটিও ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাপারগুলি ট্র্যাক করতে Google Analytics, Google Search Console ছাড়াও আরও অনেক পেইড টুলস আপনাকে সহায়তা করতে পারে।

 

আমরা একদম শেষভাগে চলে এসেছি। তো এই ছিল আজকের বিষয় এসইও এর কমন ৭ টি মিসটেক সম্পর্কে। আশা করি, এখন থেকে আপনি এই ভূলগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন এবং সঠিক পদ্ধতিতে এসইও করে এর সম্পূর্ন সুবিধা নিবেন।

এই ধরনের আরও গুরুত্বপূর্ন এবং উপকারী বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে ক্রিয়েটিভ মার্কেটার্স বাংলাদেশ এর সাথেই থাকুন। এসইও এর ব্যাপারে আরও যদি কিছু জানার থাকে বা আমাদের থেকে এসইও সার্ভিস নিতে চান তাহলে যোগাযোগ করুন।

এসইও এর ব্যাপারে তো আমরা সবাই শুনেছি হয়তো। ইদাদিং একটু বেশীই শোনা যায়। বিশেষ করে যারা ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত আছেন তারা তো এটা নিশ্চয়ই শুনেছেন যে, “এসইও টা ঠিক ভাবে করতে হবে”। কিন্তু কি হয় এই এসইও করলে? কেন করা উচিৎ এসইও? এই ২০২০ এ এসে এসইও করাটা কতখানি জরুরী? এসব প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আপনিও কি তাদের মধ্যেই একজন? চিন্তার কোন কারন নেই। আজকে আমরা এসব প্রশ্নেরই উত্তর জানার চেষ্টা করবো।

কিছুক্ষনের মধ্যেই আপনি জানতে পারবেন যে, এসইও করলে আসলে কি হয় ? তখন আপনি এটাও নিজে নিজেই বুঝে যাবেন এসইও সার্ভিস কি আপনার নেওয়া উচিৎ কিনা বা আপনার ব্যবসাকে এসইও কোন ভাবে সাহায্য করতে পারবে কিনা।

তো আর সময় নষ্ট না করে চলুন শুরু করি।

 

এসইও কি?

 

What is SEO

 

এসইও করলে আসলে কি হয় সেটা বোঝার আগে আমাদের জানতে হবে এসইও কি। এসইও আসলে একটা সংক্ষিপ্ত রুপ। এর পূর্নরুপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন। এটা অনেক গভীর একটি বিষয়। সহজ ভাবে বলতে গেলে, কোন ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্ক করানোর জন্য যে সকল উপায় অবলম্বন করা হয় তাই এসইও। বর্তমানের সব থেকে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে গুগোল। আপনার ওয়েব সাইট কে যদি আপনি গুগোলে সার্চ রেজাল্টে প্রথম পেজে দেখতে চান এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে অপ্টিমাইজ করতে হবে। আপনি এর জন্য যে টেকনিকগুলো অবলম্বন করবেন তাই এসইও। 

তো, এসইও সম্পর্কে প্রাথমিক একটা ধারনা তো আমাদের হল। এখন জানা যাক, এসইও করলে আসলে কি হয়। যদিও এসইও এর নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। আমি তারমধ্যে থেকে বাছাই করে কয়েকটি সুবিধা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

 

  • আপনার সাইটে আরও বেশী ভিজিটর পাবেন

 

Get More visitor

 

এসইও করার অন্যতম লক্ষ্যই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের টপ রেজাল্টের মধ্যে আসা। এতে লাভ যা হবে তা হল, আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন থেকে অনেক ভিজিটর আসবে।

এসইও করা ছাড়াও আরও কিছু টেকনিক আছে সাইটের ভিজিটর বাড়ানোর। তবে, এসইও এর মাধ্যমে যত ভিজিটর পাওয়া সম্ভব তা অন্য কোন উপায়ে অসম্ভবই প্রায়। অনেক ওয়েবসাইট কেই এসইও এর মাধ্যে দ্রুতই অনেক ভিজিটর পেতে দেখেছি। এখন এই বেশী সংখ্যক ভিজিটর দের কাছ থেকে লাভ করার সম্ভাবনা কতখানি? চলুন একটি সহজ উদাহরণের মাধ্যমে দেখে নেওয়া যাক।

ধরুন, আপনি একজন ই-কমার্স ব্যবসায়ী। আপনি ৫০০ সার্চ ভলিউমের একটি কিওয়ার্ডে গুগোলে টপ থ্রি তে র‍্যাংক করলেন। এতে করে আপনার সাইটে ক্লিক পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৬০%। তো ধরলাম, ২৫০ জন ভিজিটর আপনার সাইটে ভিজিট করলো প্রতি মাসে ঐ কিওয়ার্ডে।

ঐ ২৫০ জন থেকে ধরলাম ১২৫ জন আপনার প্রডাক্ট পছন্দ করলো এবং বাকী ১২৫ জন মোটামোটি পছন্দ করলো বা অল্প কেউ হয়তো করলো না। এখন যে ১২৫ জন আপনার প্রডাক্ট পছন্দ করলো তাদের মধ্যে থেকে ধরলাম ৬০-৬৫ জন প্রডাক্ট কিনবে বলে ঠিক করলো। বাকী কয়েকজন হয়তো বা এখন নিবে না কিন্তু ভবিষ্যতে নেওয়ার সম্ভাবনা কিন্ত থেকেই যায়।

এখন যে ৬০-৬৫ জন আপনার প্রডাক্ট কিনেছে বলে ঠিক করলো তাদের থেকে যদি ৫০ জনও কিনে ফেলে এবং আপনি যদি ৫০০ টাকা করে লাভ রাখেন, আপনার মোট লাভ কত এসে দাঁড়ালো? হ্যা, ঠিকই ধরেছেন ২৫ হাজার টাকা। এটা তো শুধু একটা কিওয়ার্ড থেকে। এরকম বায়িং কিওয়ার্ড যদি আপনার ১০ টা ১৫ টা বা ২০ টা র‍্যাংকে থাকে তাহলে? যদি এমন ১০০ কিওয়ার্ড র‍্যাংকে আসে? সার্চ ভলিওম যদি আরও বেশী হয়? এভাবেই আপনি খুব সহজেই আপনার কম্পিটিটর দের পিছনে ফেলে বাজার দখল করে নিতে পারবেন।

আর এসইও এর পিছনে খরচ? আমাদের ব্যাসিক প্যাকেজের মুল্য মাত্র ১৫ হাজার টাকা।একমাসে বেশ অনেকগুলো কিওয়ার্ড র‍্যাংক করানো সম্ভব। আপনি যদি ৬ মাস সার্ভিস  নিয়ে কিওয়ার্ড র‍্যাংকে রেখে দেন , আপনার ব্যবসা কোথায় গিয়ে দাড়াবে ভাবতে পারছেন?

এখন আপনি যদি এসইও না করেন তাহলে এসব সুবিধা তো আপনার কম্পিটিটর নিয়ে যাবে।

নিচের এই স্ক্রিনশটটিই দেখে নিন। কিভাবে একটি নতুন ওয়েবসাইটটি এসইও এর মাধ্যমে গ্রো করেছে। আর এই ওয়েবসাইটের এসইও আমরাই করেছিলাম।

 

Previous Ahrefs Reports:

 

 

Present Ahrefs Reports: 

 

SEO Service Proven Work Report

 

 

Previous Google Search Console Reports:

 

 

 

Present Google Search Console Reports:

 

SEO Service Proven Work Report

 

SEO Service Proven Work Report

 

শুধু পরিবর্তনটা চিন্তা করুন একবার

 

  • এডের জন্য বাড়তি খরচা করতে হবে না

 

Save Money

 

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সকল প্ল্যাটফর্মে এডের খরচ বেড়েই চলেছে। আপনি এসইও করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের পিছনে আর এডের জন্য বাড়তি খরচা না করলেও চলবে। কারন তখন আপনি এমনিতেই সার্চ ইঞ্জিন থেকে অনেক ভিজিটর পাবেন। আর যেহেতু, এসব অর্গানিক ভিজিটর। এর জন্য আপনার কোন পয়সাও খরচ হবে না। চমৎকার না ব্যাপারটি?

উদাহরন দিয়ে বললে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। ধরুন আপনি গুগোলে Cryptocurrency Exchange Software এই কিওয়ার্ডে আপনি এড রান করাতে চাচ্ছেন। শুধু আমেরিকাতেই এটার সার্চ ভলিউম ২১০। এই কিওয়ার্ডের গুগোলের সিপিসি ৬.৭৮ ডলার। আপনি যদি এই কিওয়ার্ডে ১ মাস এড রান করে ১৫০ ক্লিক পান এর জন্য আপনাকে গুনতে হবে ১০১৭ ডলার শুধু মাত্র একটা কিওয়ার্ডের জন্য! ৬ মাস এড দিতে গেলে ৬১০২ ডলার!!! আর যদি আপনি আরও কিছু কিওয়ার্ডে এড দিতে চান তাহলে আপনার বাজেট কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ভাবুন একবার। এবার আসা যাক, এসইও করলে ব্যাপারটা কেমন হবে।

প্রথমত, আপনাকে কোন ক্লিকের জন্য বা ভিজিটরের জন্য ডলার গুনতে হবে না। আপনি যদি আমাদের ৫০০ ডলারের প্যাকেজ টা নিয়ে কিওয়ার্ডগুলো র‍্যাংকে নিয়ে আসেন এবং র‍্যাংকে আসার পর থেকে আমাদের ২০০ ডলারের প্যাকেজে শিফট করেন এরকম আরও শত শত কিওয়ার্ড এ অর্গানিক ভাবেই র‍্যাংক করতে পারবেন। খরচও ৫ গুন কমে আসবে কিওয়ার্ডও একাধিন টার্গেট করতে পারবেন। এটাই তো এসইও এর সৌন্দর্য। আপনাদের আর একটি তথ্য দিয়ে থাকি। বিটকয়েন রিলেটেড এসব সফটওয়্যারের দাম অনেক বেশী হয়ে থাকে। পূর্বে আমরা এ ধরনের সাইটে কাজ করেছি। তাদের একটি সফটওয়্যারের দাম ৩০০০০ ডলার ছিল। এখন চিন্তা করে দেখুন আপনি যদি প্রতি মাসে একটি করে সেলও আসে প্রফিট করার সম্ভাবনা কতখানি?

 

আপনি যদি অনেকগুলো কিওয়ার্ড এ র‍্যাংকে আসতে পারেন তাহলে তো কোন কথাই নেই। এর থেকে দারুন ব্যাপার আর কি হতে পারে?

 

  • সঠিক অডিয়েন্সের কাছে আপনার সাইট পৌছাবে

 

Targeted Audience

 

আপনি যখন আপনার সাইটে এসইও করবেন তখন আপনাকে আর অডিয়েন্সের পিছনে ছুটতে হবে না। বরং অডিয়েন্সই আপনাকে খুজে পাবে। কি আজব লাগছে ব্যাপারটি? ব্যাপারটি তাহলে খুলে বলি।

আপনার ওয়েবসাইট যদি সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করা থাকে তাওলে সার্চ ইঞ্জিনে কেউ আপনার পন্য বা সার্ভিস সম্পর্কে সার্চ করবে আপনার সাইট টি খুজে পাবে। অর্থাৎ, আপনার ব্যবসাটি সঠিক ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপিত হবে। সেইসব লোক আপনার সাইটে যাবে যারা ইতিমধ্যেই আপনার পন্য বা সেবার ব্যাপারে আগ্রহী। এতে করে আপনার সেল বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা বহুগুনে বেড়ে যায়।

আবারো একটি উদাহরনে যাওয়া যাক, বাসের মধ্যে হকারদের সাথে তো আমরা সবাই পরিচিত। হকার যখন কোন পন্য নিয়ে বাসে ওঠে অল্প কিছু সংখ্যক লোক পন্য কিনতে আগ্রহী থাকে, বেশীরভাগ লোকেরই দেখা যায় আগ্রহ নেই। অনেকেই বিরক্ত হয়। কিন্তু ধরুন, একজন লোক Business Consultancy নেওয়ার জন্য ভালো কাউকে খুজছে। এখন তাকে যদি ভালো কোন Business Consultancy Provider এর সন্ধান দেওয়া যায়, এতে করে সে আরও উপকৃত এবং খুশী হবে। এই এক্স্যাক্ট কাজটা এখানে গুগোল করে থাকে। যে যেই সার্ভিস বা পন্যটি খুজছে গুগোলের সার্চ রেজাল্ট সেটিকেই তার সামনে তুলে ধরে। এখন আপনি যদি গুগোলের টপ রেজাল্টে থেকে থাকেন তাহলে সবাই আপনার সাইটেই ঢুকব। পার্থক্য টা বুঝতে পারছেন তো? এড দেখালে যেখানো অনেকেই বিরক্ত হয়ে স্কিপ করে দেয়, সেখানে কাস্টমার নিজে সার্চ করে আপনার সাইটে আসবে। কি চমৎকার না বিষয়টি? এই জন্যই তো পৃথিবীব্যাপী বড় বড় জায়ান্ট কোম্পানি গুলো তাদের সাইটের এসইও এর ব্যাপারে এত গুরুত্ব দেয়। আপনিও কি চান সঠিক অডিয়েন্সের কাছে পৌছাতে? তাহলে যে আপনাকেও এসইও এর সহায়তা নিতে হবে।

 

  • আপনার বিজনেসের ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে

 

Increasing Brand Value

 

বর্তমানে আমরা সবাই সার্চ ইঞ্জিনের প্রতি অনেক বেশী নির্ভরশীল। যে কোন ব্যাপারে জানার হলেই আমরা গুগোলের সহায়তা নিতে অভ্যস্ত। এসইও করলে আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিনে আরও ভিসিবল হবে। সহজেই আপনার অডিয়েন্স আপনাকে খুজে পাবে।

এতে আপনার ব্যবসায়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, ৪৮% লোক কোন নতুন প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা সম্পর্কে জানতে ঐ ব্যাপারে জানতে গুগোলে সার্চ করে বা ওয়েবসাইট ভিজিট করতে চায়। কিন্তু, আপনার ওয়েবসাইট যদি ভালোভাবে অপ্টিমাইজ না করা থাকে তাহলে তাদের অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো হবে না।

কোন ওয়েবসাইট থেকে যদি আপনার এভারেজ আর্নিং মাসে ১ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে তাহলে আপনি এটিকে বিক্রি করতে পারবেন এর ২৫ গুন থেকে ৩৫ গুন মূল্যে। এখন আপানর সাইট থেকে যদি আর্নিং এসে থাকে ৫ লক্ষ টাকা, তাহলে? আপনার ব্যবসার ভ্যালু গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। তো, আপনিও কি চান না যে আপনার ব্যবসার ভালূ অনেক বেড়ে যাক? তাহলে, এখনি এসইও এর ব্যাপারে মনযোগী হোন।

 

  • আপনার কম্পটিটরদের থেকে এগিয়ে থাকবেন

 

 

এসইও করার মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিটিটর থেকে এগিয়ে থাকতে পারবেন। কিন্তু কিভাবে? চলুন যেনে নেওয়া যাক।

যার ওয়েবসাইট যত ভালোভাবে অপ্টিমাইজ করা থাকবে সে সার্চ ইঞ্জিনে তত ভালো পজিশনে থাকবে। এখন, আপনি যদি ভালো ভাবে অপ্টিমাইজ করতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত কিওয়ার্ডেও আপনি ভালো অবস্থানে থাকবেন। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই আপনি আরও অধিক সংখ্যক ভিজিটর পাবেন। যা আপনাকে আপনার কম্পিটিটর থেকে এগিয়ে রাখবে। বিশেষ করে এই ২০২০ সালে এসে নিজের ব্যবসাকে অন্য সবার থেকে এগিয়ে রাখতে এসইও দারুন ভুমিকা রাখতে পারে।

ধরুন আপনার কম্পিটিটরেরা এসইও এর থেকে পেইড মার্কেটিং এর প্রতি বেশী আগ্রহী। যেমনটা বেশীরভাগ বাংলাদেশীরা হয়ে থাকে। এর পিছনে প্রধান কারন হচ্ছে তারা এসইও পিছনে এর ইনভেস্টমেন্ট এবং রিটার্ন সম্পর্কে অজ্ঞাত। ধরুন আপনার কম্পিটিটর পেইড মার্কেটিং করে একটি কিওয়ার্ডের এডেই খরচ করলো মাসে ১০০০ ডলার। আর আপনি আমাদের থেকে এসইও সার্ভিস নিলেন এর ৫ ভাগের ১ ভাগ খরচ করে ২০০ ডলার দিয়ে। এতে করে আপনার ১০ টা কিওয়ার্ড টপ থ্রি পজিশনে আসলো। আপনার কম্পিটিটর থেকে আপনি কিওয়ার্ডের দিক থেকেও এগিয়ে থাকলেন আর ভিজিটরও বেশী পাবেন। কোথায় ২০০ ডলার আর কোথায় ১০০০ ডলার, এখন সিদ্ধান্ত টা আপনার যে আপনি পেইড মার্কেটিং করবেন নাকি অর্গানিক ভিজিটর পেতে এসইও এর উপর ইনভেস্ট করে আপনার বোকা কম্পিটিটর দের হারাবেন। আর ১০ টা কিওয়ার্ড তো ছিল কথার কথা আমরা এর থেকে আরও অনেক বেশী কিওয়ার্ড আপনাকে র‍্যাংকে এনে দিতে পারবো।

আপনিও কি চান আপনার কম্পিটিটর দের থেকে এগিয়ে থাকতে? তাহলে আপনাকেও এসইও করতে হবে এবং সেটা হতে হবে সঠিক উপায়ে।

 

  • আপনার সাইটে এসে ভিজিটরেরা ভালো অভিজ্ঞতা পাবে

 

Happy Customer

 

এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম কানুন অনুযায়ী কোন সাইটকে অপ্টিমাইজ করা। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন আসলে কি চায়? সার্চ ইঞ্জিন এটাই চায় যে ভিজিটরেরা যেটি খুজছে সেটি যেন তারা কম সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে পেয়ে যায়।

সার্ভিকভাবে, সার্চ ইঞ্জিন এটাই চায় যেন ভিজিটরেরা ভালো অভিজ্ঞতা পায়। তো আপনি যখন এসইও করবেন অটোম্যাটিক ভাবেই আপনি আপনার ভিজটিরদের ভালো অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। দারুন না ব্যপারটি? এটা তো এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত। সার্চ ইঞ্জিনও খুশী থাকুক, সেই সাথে ওয়েবসাইটের ভিজিটরও। আর, এদের উভয়কে খুশী করতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটের গ্রোথ কে আর ঠেকায় কে!

 

  • আপনার ব্যবসার S.W.O.T. বুঝতে পারবেন

 

Why SEO is important by CMBD

 

এসইও করলে আপনার ওয়েব সাইটের খুটিনাটি সবকিছু একদম গভীর থেকে জানতে পারবেন। এখানে S.W.O.T. হচ্ছে Strength, Weakness, Opportunity, Thread। ব্যবসায় ভালো করতে হলে আপনাকে প্রথমে আপনার শক্তি এবং সামর্থ্য হিসাবে ধারণা থাকতে হবে। এসইও এর থেকে যে এনালিটিক্যাল ডাটা আপনি পাবেন সেখান থেকে আপনার স্ট্রেংথ আপনি বুঝতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে কোন কিওয়ার্ড থেকে ভিজিটর আসছে, কোথার থেকে বেশী সেল জেনারেট হচ্ছে, কোন পেজে ভিজিটরেরা বেশী সময় দিচ্ছে সব খুঁটিনাটি জানতে পারবেন।

শক্তি আর সামর্থ্যের পাশাপাশি দূর্বলতা সম্পর্কেও জানা থাকা দরকার। এসইও করলে সেটাও জানতে পারবেন। কোন পেজের বাউন্স রেট বেশী, ভিজিটর সময় একদমই দিচ্ছে না। কোন কিওয়ার্ড থেকে সেল জেনারেট হচ্ছে না বা ভিজিটর কম আসছে। জানতে পারবেন সব কিছু। 

এতো গেলো শক্তি আর দূর্বলতার কথা। কিন্তু, এসইও শুধু এই দুটোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এসইও এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসার Opportunity গুলো আরও ভালো ভাবে ধরতে পারবেন। এতে আপনাকে সহায়তা করবে আমাদের ইন-ডেপথ কিওয়ার্ড রিসার্চ। যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রেই আপনাকে আপনার জন্য সঠিক কিওয়ার্ড খুজে বের করতে হবে। সঠিক কিওয়ার্ড খুজে বের করার পাশাপাশি তার সার্চ ভলিউম কত, টপ রেজাল্টে থাকলে এভারেজ সিটিআর কত,  এভারেজ কনভার্সন কেমন হয়ে থাকে এসব সম্ভাবনাময় তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। এসবের উপর কাজ করে আপনার ব্যবসাকে নিয়ে যেতে পারবেন অন্যতম এক লেভেলে।

একই সাথে সম্ভাব্য কোন থ্রেড সম্পর্কেও জানতে পারবেন। কোন কিওয়ার্ডের ট্রেন্ড কেমন যাচ্ছে, সেটাতে আগামীতে কেমন সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার কম্পিটিটর হার্মফুল ব্যাকলিঙ্ক করছে না তো আপনার সাইট ডাউন করতে? বা বটের মাধ্যমে ট্রাফিক ছেড়ে দিচ্ছে নাতো আপনার সাইটের ক্ষতি করতে? কোন কারনে কি আপনি গুগোলের পেনাল্টির মুখে পড়তে যাচ্ছেন? সঠিক এসইও এর দ্বারা এসব থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখতে পারবেন। নিজে যদি এসব ভালো না বুঝে থাকেন আমাদের এসইও সার্ভিস নিয়ে দেখতে পারেন।

 

মোট কথা, আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ব্যবসার জন্য কোনটি কাজ করছে আর কোনটি কাজ করছে না, কোথায় আরও ইমপ্রুভ করা দরকার, কোন বিষয়গুলি আপনার ভিজিটররা কিভাবে নিচ্ছে ইত্যাদি। এর মাধ্যমে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইট এবং ব্যবসাটিকে।

 

এই ছিল এসইও এর নানাবিধ দিকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি। আশা করি, সবাই বুঝতে পেরে গিয়েছেন যে এসইও করলে আসলে কি হয়। তাই, এখন থেকে আপনার সাইটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এসইও এর ব্যাপারে মনোযোগী  হন। আর একটি গুরুত্বপূর্ন কথা, সব কিছুরই ভালো খারাপ দুইটি দিক থাকে। এসইও এর যেমন শত শত ভালো দিক রয়েছে, সঠিক ভাবে না করতে পারলে এর অনেক খারাপ দিকও রয়েছে। আপনি এসইও এর সঠিক উপাইয়গুলি অবলম্বন করছেন তো? চাইলে আমাদের থেকে সহায়তা নিতে পারেন। ক্রিয়েটিভ মার্কেটার্স বাংলাদেশ এসইও সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের সার্ভিস নিতে আগ্রহী হলে নির্দিধায় যোগাযোগ করুন।

এসইও সম্পর্কিত আরও বিভিন্ন দরকারী তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে। কারও কোন প্রশ্ন থাকলে বা কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান। সবার ব্যবসায়ের জন্য রইলো শুভকামনা।

ব্লগিং হোক বা সার্ভিস রিলেটেড ওয়েবসাইট, যে কোন ক্ষেত্রেই কন্টেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। ভালো মানের কন্টেন্ট যেমন যেকোন ওয়েবসাইট কে সফলতার চূড়ায় নিয়ে যেতে পারে। ঠিক তেমনি অন্যদিকে, কন্টেন্ট এর মান ভালো নাহলে পড়তে পারেন বিভিন্ন ধরনের অসুবিধায়। আচ্ছা, এই ভালো মানের কন্টেন্ট বলতে আসলে কি বোঝায়? আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থেকে থাকে, আপনিও হয়তো কারো থেকে কন্টেন্ট রাইটিং সার্ভিস নিয়ে থাকেন। তো কিভাবে বুঝবেন আপনার রাইটার আপনাকে ভালো মানের কন্টেন্ট দিচ্ছে কিনা? আপনার মনেও যদি একই প্রশ্ন এসে থাকে, পড়ে ফেলুন এই আর্টিকেল টি। আশা করি, তারপর থেকে কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন আপনার রাইটার আপনাকে কোয়ালিটি কন্টেন্ট এর নামে ফাকি দিচ্ছে কিনা।

 

তাহলে আর দেরী কিসের? চলুন শুরু করি।

 

 

1.প্লাগারাইজড/কপি কন্টেন্ট কিনা চেক করে নিন:

 

Check Plagiarism

 

সবার প্রথমে যেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে সেটা হল কন্টেন্ট টি কোথাও থেকে কপি করা হয়েছে কিনা। অনেক টুলস রয়েছে প্লাগারিজম চেক করার জন্য। ফ্রি এবং পেইড উভয় ভার্সনেই পেয়ে যাবেন বিভিন্ন টুলস। তবে, আমি আপনাকে রিকমেন্ড করবো পেইড টুলস ব্যবহার করতে। কোনটি ব্যবহার করবেন?

 

CopyScape ব্যবহার করতে পারেন। দামেও সাশ্রয়ী আর রেজাল্টও খুবই ভালো দেয়। ফ্রি-টুল গুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক ভাবে প্লাগারিজম চেক করতে পারে না। তবে একান্তই যদি ফ্রি টুল ব্যবহার করতে চান Quetext এবং EduBirdie এই দুটো ব্যবহার করতে পারেন। তবে, কন্টেন্ট এর মত গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়ে কয়েক ডলার খরচ করে পেইড টুলস ব্যবহার করাই ভালো। আপনার ইনভেস্টমেন্ট বিফলে যাবে না। আপনার রাইটার যদি আপনাকে কপি করা কন্টেন্ট বা প্রতি বাক্যে দুই একটা শব্দ পরিবর্তন করে আপনাকে দিতে থাকে, আর আপনি যদি সেগুলোই আপনার সাইটে পাব্লিশ করে যেতে থাকেন, লং টার্মে আপনি বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন। তাই, এখনি সতর্ক হোন। কপি কন্টেন্ট দিয়ে আপনি যত ভালোই এসইও করুন না কেন, বেশি দূর আগাতে পারবেন না। র‍্যাংক হওয়া তো অনেক দুরের কথা কন্টেন্ট ইনডেক্সিং এই সমস্যা দেখা দিবে। অনেককেই এই সমস্যায় পড়তে দেখেছি, কপি কন্টেন্ট এর জন্য গুগোল ইনডেক্স করছে না। পিং করে বা আরও বেশি ব্যাকলিংক করে কিছুতেই কিছু হয় না। হবে কি করে? ভূত তো রয়েছে সর্ষের মধ্যেই।

 

2.স্পিন কন্টেন্ট কিনা দেখে নিন:

 

Check Spin Content

 

স্পিন কন্টেন্ট হচ্ছে আর একটি ভয়ানক ফাঁদ। রাইটার যদি আপনাকে স্পিন কন্টেন্ট( টুলসের সাহায্যে কন্টেন্ট এর শব্দ পরিবর্তন করে সমার্থক শব্দ বসানো) দেয় তাহলে কিন্তু প্লাগারিজম চেক করে কিছুই পাবেন না। এদিকে আপনার ওয়েব সাইট পড়বে বিপদে।

ধরুন, কথার কথা কন্টেন্ট ইনডেক্স হল এবং ভিজিটর আসলো। তারপর কি হবে? স্পিন কন্টেন্ট এর প্রথম দু লাইন পড়েই ভিজিটর দৌড়ে পালাবে। কিভাবে বুঝবেন কন্টেন্ট স্পিন কিনা? একটু চোখ-কান খোলা রাখলেই এটা ধরতে আপনার খুব বেশী কষ্ট হবে না। প্রথমত, ম্যানুয়ালি কন্টেন্ট টি পড়ে দেখবেন। স্পিন কন্টেন্টের বেশীরভাগ বাক্যেরই স্ট্রাকচারের আগামাথা কিছুই ঠিক থাকে না। পড়লেই কেমন একটা গোজামিল মনে হবে। চলুন একটি উদাহরন দেখে নেওয়া যাক।

Before: We should not use spin articles on our website. Otherwise, it will harm our website in the long term. But, how to check spin content? There are several ways to check it. It’s better to check manually.

After Spinning: We ought not utilize turn articles in our site. Else, it will hurt our site in a long haul. Be that as it may, how to check turn content? There are a few method to check it. It’s smarter to check physically.

স্পিন করার পরে কন্টেন্ট এর কি হাল হয়েছে দেখুন। এখন এরকম কন্টেন্ট দিয়ে আপনি কি আশা করতে পারেন আপনার ভিজিটরদের থেকে? স্পিন কন্টেন্ট এর আরেকটি বড় সমস্যা হল কন্টেন্টের রিড্যাবিলিটি একদম জঘন্য করে ফেলে। কিভাবে চেক করবেন রিড্যাবিলাটি? অনেক টুলস রয়েছে, তবে আমার কাছে Hemmingway সবথেকে ভালো মনে হয়। স্কোর যদি ৬ বা এর নিচে থাকে তাহলে ভালো। কিন্তু ৬ এর উপরে গেলে ব্যাপারটি চিন্তার। আরেকবার মনে করিয়ে দিতে চাই। শধুমাত্র টুলসের উপর ভরসা করবেন না। নিজেও ম্যানুয়ালি একবার পড়ে দেখবেন।

 

3.গ্র্যামাটিকাল ভুল আছে কিনা দেখে নিন:

 

Grammatical Error

 

এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। শুধু কন্টেন্ট অরিজিনাল আর স্পিন না করা হলেই যে এর মান ভালো তা কিন্তু না। একই সাথে আপনার কন্টেন্ট হতে হবে গ্র্যামাটিক্যাল ভাবে ত্রুটিমুক্ত। অনেক সময় একটি কমা বাক্যের অর্থটাই পাল্টে দিতে পারে। কন্টেন্টের মধ্যে গ্রামাটিক্যাল ভুল থাকলে ব্যাপারটি খুবই দৃষ্টিকটু দেখায়।

কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তো গ্রামারের নাম শুনলে কেমন একটা ভয়ভীতি কাজ করে আমাদের বেশীরভাগের মধ্যে। কিভাবে বুঝবো যে গ্রামারের কোন ভূল আছে কিনা?

Grammerly তো রয়েছেই। ব্যাসিক ভাবে দেখে নিতে পারবেন কন্টেন্ট এর গ্রামারের বিষয়াদি। এটা একটা রাইটিং স্কোরও শো করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। ফ্রি এবং পেইড দুইটা ভার্সনেই ইউস করতে পারেবন। পেইড ভার্সনে কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে। পেইড ভার্সন দিয়ে প্লাগারিজমও চেক করতে পারবেন। তবে, আমার কাছে গ্রামারলির প্লাগারিজম এর রেজাল্ট টা খুব একটা সুবিধাজনক মনে হয় না। কিন্তু। গ্রামারের জন্য এটি মোটামুটি ঠিকঠাক। এটিও মনে রাখতে হবে, এটি একটি টুল মাত্র। ১০০% সঠিক রেজাল্ট কিন্তু এটি দিতে পারবে না। এর জন্য আপনাকে সেই ম্যানুয়ালি ই চেক করে নিতে হবে। তবে যাদের গ্রামারে দূর্বলতা রয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে মোটামুটি ধারনা নিতে চান কন্টেন্টের গ্রামার সম্পর্কে তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী একটি টুল।

 

4.কন্টেন্ট এর মাঝে তুলে ধরা তথ্যগুলি সঠিক কিনা:

 

Check The information

 

কন্টেন্ট এর মাঝে অনেক সময় অনেক তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়। এই তথ্যগুলি কি আপনার রাইটার সঠিক দিয়েছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। ব্যাপারটা শুনে একটু জটিল মনে হচ্ছে তাই না? এটি একটু সময়সাপেক্ষ, কিন্তু জটিল একদমই না।

গুগোল, বিং বা ইয়াহুর মত সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে আপনি খুব সহজেই কোন তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, কোন ব্যপারে জানা না থাকলে সেটি সম্পর্কে লেখার কোন দরকার নেই। কিন্তু এটি খেয়াল রাখবেন, কোন ভাবেই রিডার যেন কোন ভুল ইনফরমেশন না পায় আপনার ওয়েবসাইট থেকে। এতে করে আপনারা ওয়েবসাইটের গ্রহনযোগ্যতা কমে যাবে, রিডার এবং সার্চ ইঞ্জন উভয়ের কাছে থেকেই। এরকম ভূল কিছুতেই করা যাবে না। আর একটু কথা, যে কোন সার্চ ইঞ্জিনেই কোন তথ্য সার্চ করার পর অনেক ধরনেরই রেজাল্ট দেখতে পাওয়া যায়। সকল সোর্স থেকেই তথ্য নেওয়া যাবে না। কোন তথ্য আপনার কন্টেন্ট এ ব্যবহার করার আগে সেটির সোর্স কতখানি বিস্বাসযোগ্য সেটি আগে বুঝে নিতে হবে।

এজন্য অবশ্যই তথ্য ও উপাত্ত গুলো নির্ভরযোগ্য সাইট থেকে নিতে হবে। এক্ষেত্রে Wikipedia এর সহায়তা নিতে পারেন। কোন কিছুর জরীপ দেখাতে চাইলে সাল ও তারিখ সতর্কতার সাথে মিলিয়ে নিতে হবে। কিছুটা সময় লাগলে ব্যয় করুন। কন্টেন্টের মাঝে যেন কোন ভূল কোন কিছু না থাকে সেটা নিশ্চিত করুন।

 

5.কন্টেন্ট টি আপনার লক্ষ্যের প্রতিফলন ঘটাতে পারছে তো?

 

Check Goal

 

ব্যাপারটি প্রথমে শুনে একটু খটকা লাগতে পারে। চলুন একটু গভীরে যাওয়া যাক। কোন কন্টেন্ট এর পিছনে অনেক ধরনেরই লক্ষ্য থাকতে পারে। এই ধরুন, লক্ষ্য হতে পারে আপনি কোন পন্য সেল দিতে চান, আপনার ব্যবসা সম্পর্কে সবাইকে জানাতে চান, আপনার সার্ভিস গ্রহন করাতে চান, কোন বিষয় সম্পর্কে জানাতে চান ইত্যাদি।

রাইটার এর থেকে কন্টেন্ট নেওয়ার পর এটাকে ভালো ভাবে পড়ে দেখুন। তারপর, আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী এটিকে মিলিয়ে নিন এটি কতখানি সফল হয়েছে বলে বলে মনে হয় আপনার লক্ষ্যকে এর মাঝে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে। একটি উদাহরন দিলে ব্যাপারটি আরও পরিষ্কার হবে। ধরুন, আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এর সাথে যুক্ত আছেন। আপনি চান আপনার কন্টেন্ট টি পড়ে রিডার্সরা কন্টেন্ট এ উল্লেখিত পণ্যটি ক্রয় করুক। এখানে কন্টেন্ট এর মধ্যে কিছু ব্যাপার আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। প্রথমত, কন্টেন্ট এর মধ্যে রাইটার কি সেসব বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে পেরেছে যা রিডার্সদেরকে অন্তত আম্যাজনের লিঙ্কে প্রাইস দেখতে নিয়ে যেতে ইনফ্লুয়েন্স করবে? একজন ক্রেতা হিসাবে ভেবে দেখুন, আপনি কি প্রোডাক্ট টি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সব তথ্য পেয়েছেন যা আপনার জানা দরকার? এমন কোন বিষয় কি সেখানে রয়েছে যা অন্য কোথাও সেভাবে তুলে ধরা হয়নি? এসব ব্যাপারই পারে আপনাকে অন্য কম্পিটিটর থেকে আলাদা করে তুলতে। এসব ব্যাপারগুলো ধরতে একটু সময় লাগতে পারে শুরুর দিকে। কিন্ত ঐ যে কথায় আছে না, গাইতে গাইতে গায়েন। ধীরে ধীরে এক সময় ঠিক বুঝে যাবেন। তখন, শুরুর দিকের তুলনায় সময়ও কম লাগবে।

 

তো, এই ছিল আজকের বিষয়গুলো। ইনশাল্লাহ, এটা রাইটিং  বা কন্টেন্ট এর সাথে যুক্ত সবার কাজে আসবে। আশা করি, এখন থেকে আপনার বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হবে না যে, আপনার কন্টেন্ট রাইটার আপনাকে ফাঁকি দিচ্ছে কিনা। এছাড়াও আপনার মনে যদি অন্য কোন প্রশ্ন থেকে থাকে কন্টেন্ট রাইটিং সার্ভিস এর ব্যাপারে, নির্দিধায় আমাদের কে জানান। কন্টেন্ট রাইটিং, এসইও, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সহ ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন বিষয়াদি জানতে ও সার্ভিস নিতে ক্রিয়েটিভ মার্কেটার্স বাংলাদেশের সাথেই থাকুন।

 

Testimonial

client Content review
তারা আমাকে কন্টেন্ট গুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোয়ালিটি বজায় রেখে ডেলিভার করেছে। যেটাতে আমি খুবই সন্তুষ্ট হয়েছি। কেননা বাংলাদেশের অধিকাংশ এজেন্সি কে দিয়ে কন্টেন্ট লেখাতে গেলে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা হয় তাদের ডেডলাইন ঠিক থাকেনা   আলহামদুলিল্লাহ তাদের সার্ভিস নিয়ে আমি অনেক বেশি সন্তুষ্ট। দোয়া করি তারা অনেক দূর এগিয়ে যাক।
Sezan MahmudContent Writing Service Testimonial ReviewBD
Client SEO Review rakib vai
সত্যি কথা বলতে , যতদিন বাচব ইন-শা-আল্লাহ উনারা যদি সার্ভিস অ্যাভাইলাভেল রাখেন তাহলে উনাদের সার্ভিস নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ্‌ এবং আমার পরিচিত যারা আছে তাদের হাইলি রিকমেন্ড করবো।
Rakib AhmedKeyword Research, Content & SEO Service Testimonial ReviewBD
Client SEO Review Sohel Nur
আলহামদুলিল্লাহ আমি ক্রিয়েটিভ মার্কেটার্স বিডি এর সার্ভিস নিয়ে সন্তুষ্ট। নিয়ত করেছি এই অ্যাডসেন্স সাইটের জন্য উনাদের থেকে সার্ভিস নিয়ে সাইট টা আরও আরও অনেক বড় করব ইনশাআল্লাহ্‌ ।   মাঝে মাঝে হাবিব ভাইকে মজা করে বলি, ভাই আমারে কি-ওয়ার্ড রিসার্চটা সেখান, আর এস,ই,ও টাও সেখান।
Sohel NurKeyword Research, Content & SEO Service Testimonial ReviewBD
Client SEO Review Nashrullah
আমার টার্গেটেড কিওয়ার্ডগুলো র‍্যাঙ্কে আসার পরে, হাবিব ভাই রিসার্চ করে জানান আমার ব্যবসাতে আমি আরো কোন কোন নতুন কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে ভবিষ্যতে অনেক বেশি ট্রাফিক পাব এবং সেই ট্রাফিক থেকে আমার ভালো সেল আসবে, আমার কম্পিটিটর কোন কোন কিওয়ার্ড এ অ্যাড রান করছে, তারা কোন কোন কিওয়ার্ড থেকে বেশি ট্রাফিক পাচ্ছে এই জিনিসগুলো।   আমাকে একটা সুন্দর প্ল্যান দেন যেটা নিয়ে আমার এখন ভবিষ্যতে অনেক দূর পর্যন্ত কাজ করার ইচ্ছা আছে ইনশাআল্লাহ।   সর্বোপরি, আমি খুবই খুশি এবং সন্তুষ্ট ক্রিয়েটিভ মার্কেটার্স বাংলাদেশ এর সার্ভিস নিয়ে।
Nasrullah NashSEO Testimonial ReviewBD
client Imran Fahim vai SEO review
উনাদের মতো প্রফেশনাল এবং ভালো কোয়ালিটির সার্ভিস প্রোভাইডার আমি খুব কমই দেখেছি। বাংলাদেশে সাধারনত এমনটা পাওয়াই যায় না।
Imran FahimSEO Testimonial ReviewBD
Client SEO Review Badhon vai
আমরা এখন ওনার কোম্পানির থেকে কয়েকটি প্রোজেক্টের এস,ই,ও সার্ভিস নিচ্ছি । ভবিষ্যতে আমাদের অনেক বড় পরিকল্পনা আছে, অনেকগুলো প্রজেক্ট রান করানোর। বরাবরের মত ওনাদের থেকেই সার্ভিস নিব এবং ভালো সার্ভিস পাবো বলে আশাবাদি। ক্রিয়েটিভ মার্কেটার্স বাংলাদেশ কে অনেক ধন্যবাদ, আমাদের কষ্ট করে কোয়ালিটি লোক খুজে হায়ার করতে হয় না। এখানেই আমরা সব ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস পেয়ে যাই।
BadhonSEO Testimonial ReviewBD,UAE,US,Estonia

About Our Servoce

We are dedicated to satisfied our client. Like in SEO, We have money back Guarantee SEO service, In Graphics Desing we have unlimited reviews for you until you like that design. In Content Writing service We send content to our client after checking  copyscape premium, grammerly premium, and rewrite content if client is not satisfied with that.

Hello,
Assalamu Alaikum, Welcome!

How Can We Help You